দারুণ জয়ে সেমিতে ফ্রান্স, উরুগুয়ের বিদায়

শেষ ষোলোতে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে তারা ছিল বেশ দুর্বার। মেসিদের বিপক্ষে দারুণ আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে জয় তুলেছিল ফ্রান্স। কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের শুরুতে খুব একটা ভালো খেলতে না পারলেও, ধীরে ধীরে ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে নেয় তারা। শেষ পর্যন্ত এই ম্যাচে ২-০ গোলে জিতে সবার আগে শেষ চারে জায়গা করে নেয় ফ্রান্স।

আজ শুক্রবার নিজনি নোভগোরদে অনুষ্ঠিত ম্যাচের ৪০ মিনিটে ফ্রান্স এগিয়ে যায়। ফ্রি-কিক থেকে চমৎকার গোলটি করেন রাফায়েল ভারানে। গ্রিজমানের ফ্রি-কিকে ভারানের হেডে পোস্ট ঘেঁষে বল জালে জড়ায়।

চার মিনিট পর ম্যাচের সমতা ফেরানোর দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করে উরুগুয়ে। কর্নার থেকে ডিফেন্ডার মার্টিন ক্যারোসের হেড ঝাঁপিয়ে পড়ে ফ্রান্স গোলরক্ষক হুগো লরিস দলকে বিপদ মুক্ত করেন, তা না হলে গোল হতেও পারতো।

প্রথমার্ধে এক গোলে এগিয়ে থাকা ফ্রান্স দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরো আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে। তাই ব্যবধান দ্বিগুণ করতে খুব বেশি সময় লাগেনি। দলের পক্ষে দ্বিতীয় গোলটি করেন মিডফিল্ডার আতোয়োন গ্রিজম্যান। ৬১ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে চমৎকার শটে উরুগুয়ে গোলরক্ষকে পরাস্ত করেন তিনি। তাঁর শট গোলরক্ষকের হাত ফসকে জালে জড়ায় বল।

অবশ্য এর আগে ম্যাচের শুরুর দিকে উরুগুয়েই বেশি সুযোগ পেয়েছিল। তাই শুরুতে এগিয়েও যেতে পারতো প্রথম বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা। চতুর্থ মিনিটেই দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করে তারা। দিয়েগো লাক্সাল্টের ক্রসে নাহিটান নানডেজ পা ছোঁয়ালেই গোল হতো কিন্তু তিনি পারেননি বল জালে জড়াতে, তাই শুরুতেই উরুগুয়ের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

অবশ্য দুই গোলে পিছিয়ে উরুগুয়ে যেন খেই হারিয়ে ফেলে। পরবর্তী সময়ে তারা পারেনি ফ্রান্সের রক্ষণভাগে খুব একটা নাড়া দিতে। তাই কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে সুয়ারেজের দলকে।